
নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ মমতার, বললেন, ‘ভোট এলেই কেন্দ্রের ক্যা ক্যা শুরু হয়’
কলকাতা: ২০২৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাম্প্রতিক গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন এবং আশ্বাস দেন যে তিনি কারও নাগরিকত্ব কাড়তে দেবেন না। একই সাথে তার কটাক্ষ, ভোটের আগেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ‘ক্যা ক্যা’ (সিএএ) শুরু করে। আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০২৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হবে। এই বিজ্ঞপ্তির প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন, ‘‘২০২৪ সাল পর্যন্ত যাঁরা এসেছেন, তাঁদের রেশন, নাগরিকত্ব, সাংবিধানিক অধিকার দেবেন তো?’’ এরপরেই তিনি রাজ্যবাসীকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘‘আমরা কারও নাগরিক অধিকার কাড়তে দেব না।’’ আসন্ন ২০২৫ সালের পশ্চিমবঙ্গ ও অসম বিধানসভা ভোটকে ইঙ্গিত করে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ভোট এলেই ওরা (কেন্দ্রে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার) ক্যা ক্যা করে বেড়ায়।’’ তিনি কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে একটি "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড গেম" হিসাবে অভিহিত করে সংশয় প্রকাশ করেন এবং বলেন, যারা ‘ক্যা ক্যা’ করে চিৎকার করে, তারা আদতে কাউকে নাগরিকত্ব দেয়নি। এই প্রসঙ্গে তিনি কোচবিহারের রাজবংশী এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচারের অভিযোগও তোলেন। দিনহাটার উত্তমকুমার ব্রজবাসী এবং নিশিকান্ত দাসের মতো পুরনো বাসিন্দাদের অসমে এনআরসি নোটিস পাঠানোর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন যে, বিজেপি সরকার আসলে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চালু করতে চাইছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বিধানসভায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।